জ্বালানি সঙ্কটে গাজার আল-নাসের হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ, ব্যাহত চিকিৎসাসেবা

গাজা উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান সংকটের মুখে এবার বন্ধ ঘোষণা করা হলো আল-নাসের হাসপাতালের বেশিরভাগ পরিষেবা। ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর অব্যাহত হামলার পাশাপাশি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

জ্বালানি ঘাটতির কারণে হাসপাতালটি বুধবার থেকে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং অস্ত্রোপচার কক্ষ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকী সকল চিকিৎসাসেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা, যা ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র খান ইউনিসের আল-নাসের হাসপাতালের বরাতে প্রকাশিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আল-নাসের হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। জ্বালানি সঙ্কট এতটাই তীব্র যে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থায় জ্বালানি ঘাটতির এই প্রভাব আরও অনেক হাসপাতালের ওপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের মাত্রা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি

ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা এবং অবরোধে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যখাত এক দীর্ঘস্থায়ী সংকটে নিমজ্জিত। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ওষুধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতির কারণে হাসপাতালে আহত ও অসুস্থ রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।